মাহমুদ ফারুক, ৬ এপ্রিল: সৌদি আরবের মক্কায় দীর্ঘদিন অবস্থানকৃত লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের ব্যপারী বাড়ীর মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের বড় ছেলে মোঃ ইউসুফ হোসেন (৪২) জ্বর-সর্দি ও কাঁশিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা তাকে কিং আবদুল্লাহ হসপিটালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মোঃ ইউসুফের স্ত্রী রোজিনা বেগমের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন সৌদি আরবের একই জায়গায় কর্মরত মোঃ ইউসুফের দুই ছোট ভাই মোঃ ইয়াসিন ও ফারুকের বরাত দিয়ে জানান, মোঃ ইউসুফ সম্পূর্ণ সুস্থ্য ছিলেন। গত দুই তিনদিন থেকে সামান্য জ্বর সর্দি হলে স্থানীয় হসপিটালে গেলে তারা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঘরে থাকতে বলেন। হটাৎ বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে কিং আবদুল্লাহ হসপিটালে নিয়ে যায়। তারপর থেকে মোঃ ইউসুফের কোন খোঁজ খবর আমরা পাইনি।
সৌদিতে কর্মরত দুই ছোট ভাই আরো জানান, সৌদি মালিকের অজ্ঞাতসারে তাঁকে হসপিটালে নিয়ে যায়।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সৌদি থেকে ফিরে আসা মোঃ ইউসুফের স্ত্রী’র বড় ভাই বিল্লাল হোসেন আরো জানান, কিং আবদুল্লাহ হসপিটালের যে ইউনিটে তার বোনের স্বামীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তা করোনা ইউনিট। অথছ আমার বোনের স্বামীর হার্টের সমস্যা ছিলো। গত কয়েকদিন পূর্বে বাড়ীতে তার বুক ব্যাথার কথা জানালে আমরা স্থানীয় একটি মসজিদে দোয়ার আয়োজন করি।
হটাৎ গতকাল রবিবার বিকাল ৫টায় আমরা খবর পাই আমার বোনের স্বামী হসপিটালে মৃত্যু বরন করেছেন।
এদিকে মোঃ ইউসুফের মৃত্যুর খবর তার গ্রামের বাড়ীতে পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্ত্রী রোজিনা বেগম জানান, আমার স্বামী সম্পূর্ণ সুস্থ্য ছিলেন, আগেরদিন রাতেও আমার সাথে কথা হয়েছে। আমার এক ছেলে এক মেয়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আছে।
মোঃ ইউসুফের বাবা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন ছেলের এমন মৃত্যুতে বিলাপ করতে করতে জানান, আমার ছেলেকে সৌদি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ হত্যা করেছে। জ্বর সর্দির আক্রান্ত হয়ে আমার ছেলে অসুস্থ্য হলেও সৌদি সরকার করোনা রোগী বানিয়ে আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি বাংলাদেশ সরকাররের মাধ্যমে আমার ছেলে হত্যার সুবিচার চাই।