মাহমুদ ফারুক, ২০ এপ্রিল:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আঁখি আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে শারিরীক সর্ম্পক তৈরি করে বিয়ের দাবী প্রত্যাক্ষান করায় প্রতারনার শিকার প্রেমিকা রবিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে উপজেলার মধ্য দরবেশপুর গ্রামের নোয়াবাড়ীর আবদু রশিদের ছেলে আরিফ হাসানকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৭নম্বর দরবেশপুর ইউনিয়ননের মধ্য দরবেশপুর গ্রামে।
রামগঞ্জ থানা পুলিম ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব দরবেশপুর গ্রামের লক্ষীপুর সরকারী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রীর সাথে মধ্য দরবেশপুর নোয়া বাড়ির মৃত আঃ রশিদের বখাটে ছেলে কাতার প্রবাসী আরিফ হাসানের সাথে ২০১৬ইং সন থেকে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো।
আরিফ হাসান চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে আসে। আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় আরিফ হাসান কলেজ ছাত্রীর সাথে শাররিকভাকে মেলামেশা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু কলেজ ছাত্রী বারবার তা প্রত্যাক্ষান করে। এরই মধ্যে গত ৮মার্চ আরিফ বিয়ের করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে চাঁদপুর হয়ে লঞ্চ যোগে ঢাকার কমলাপুরে সিটি প্যালেস হোটেলে নিয়ে যায়। ঢাকা যাওয়ার পথে লঞ্চে ও হোটেলে দফায় দফায় কলেজ ছাত্রীর মতামতের বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। কিন্তু ৯মার্চ সকালে বিয়ে করার কথা থাকলেও আরিফ হাসান তাকে বিয়ে না করে সোজা সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে এনে জোরর্পূক গাড়িতে তুলে দিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
ধর্ষিতা কলেজছাত্রী বলেন, শিক্ষিত মেয়ে হিসেবে আমি সবসময় সতর্ক ছিলাম। কিন্তু লঞ্চে উঠার পর সে আমার সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে বলে সদরঘাট নেমেই বিয়ের কাজ সেরে ফেলার কথা বলে কয়েকবার শাররিক মেলামেশা করে। সদরঘাট গিয়ে বলে হোটেলে উঠে তারপর বিয়ে করবে। এভাবে আরিফ যে আমার সাথে বারবার এমন প্রতারনা করবে তা কখনো ভাবিনি।
অভিযুক্ত ধর্ষক আরিফ হাসানকে মোবাইলে বার বার কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের আলোকে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।