মাহমুদ ফারুক, ২২ এপ্রিল: রামগঞ্জ উপজেলা ও থানা প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে লকডাউন বা সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখছেন না সাধারণ মানুষ। মাছ ও তরকারীর দোকানগুলোতে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শত শত মানুষের ভীড় লক্ষনীয়।
উপজেলা ও থানা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্বের উন্নত দেশের মতোই বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করতে রামগঞ্জ পৌর মাছ ও কাঁচা বাজার স্থানান্তর করা হয় রামগঞ্জ পৌর শিশুপার্কে। স্থানীয় ইজারাদারকে স্থানান্তরিত বাজারের সার্বিক নিরাপত্তা ও প্রতিদিন বাজার এলাকায় জীবানুনাশক ছিটিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
পৌর শিশুপার্কের একজন মাছ বিক্রেতা জানান, এখানে অনেক সমস্যা। খোলা আকাশের নিছে মেঘ বৃষ্টি মাথায় রেখে ব্যবসা করছি। পানির ব্যবস্থা না থাকায় দুইদিন থেকে মাছবাজার এলাকায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
তরকারী বিক্রেতা মোঃ মাসুদ জানান, এখানে মানুষের ভীড় বেশি। এখানে ভ্যান ও রিক্সাচালকরাও তরকারী বিক্রি করায় ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি। কাঁচা বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করতে পারছেন না।
তরকারী ব্যবসায়ী মোঃ মতিয়া ও বশির আহম্মেদ জানান, আমরা এখানে ব্যবসা করতে পারছি না। স্থানীয় কয়েকজন যুবক এখানে আমাদের বসতে দিচ্ছে না। তারা ভ্যান ও রিক্সাচালকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে তরকারী বিক্রিতে ব্যবহার করায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।
এ ব্যপারে রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচাবাজার ইজারাদার মোঃ নজির আহম্মেদের সাথে সাথে মোবাইলে বার বার কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ইজারাদারকে বলে দিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বেচ্ছাসেবি নিয়োগ দিতে। এছাড়া তিনি আরো জানান, নির্ধারিত সময়ের পর অবশ্যই জীবানুনাশক ছিটিয়ে পরিস্কার ও জীবানুমুক্ত রাখতে হবে বাজার। এর বিপরিতে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান বলেন, আমরা বার বার বলার পরও যদি স্থানীয় এলাকাবাসী বা ক্রেতারা সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। কোন প্রকার অনিয়ম হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনসহ প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।