আতোয়ার রহমান মনির, ২৯ এপ্রিল:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রান্তিক জেনারেল হাসপাতাল এর কার্যক্রম বন্ধে নোটিশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার।
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা না মানায় তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ও উক্ত হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল গফফার। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব মুহুর্তে সরকারি নির্দেশনা না মানা ও তাদের ইচ্ছেমতো কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রান্তিক জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম মঙ্গলবার বিকালে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়, নোটিশকৃত হাসপাতালের চতুর্থতলায় ভাড়া থাকেন রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্ধার।
সম্প্রতি রামগঞ্জ সরকারী হসপিটালের কর্মচারী সুমন দাস করোনায় আক্রান্ত হলে প্রান্তিক হাসপাতালের ভবন মালিকপক্ষ ডাক্তার গুনময় পোদ্ধারকে যথাযথ নিরাপত্তা গ্রহণ করতে বলায় তিনি রাগান্বিত হয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধে হুমকি দেয়।
তবে এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্ধার জানান, আমি যখন হসপিটাল থেকে ডিউটি শেষে বাসায় ফিরি তখন প্রান্তিক হাসপাতাল কর্মকর্তা কমচারীদের আচরন আমাকে লজ্জিত করেছে। আর প্রান্তিক হাসপাতালের মালিকপক্ষ বা ভবন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কোন কথাই হয়নি আমার। অথছ তারা মিথ্যা কথা চড়িয়ে ফায়দা নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
প্রান্তিক হাসপাতালের প্যাথলজিষ্ট মোঃ ফিরোজ জানান, আমাকে স্যার (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুমনয় পোদ্দার) জানিয়েছেন রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য। আমি আমার কর্মস্থলের এমডির সাথে কথা বলে নমুনা সংগ্রহে আগ্রহ প্রকাশ করি। দুই দিন কাজ করার পর প্রান্তিক হাসপাতালের কয়েকজন পরিচালক সদস্য আমাকে হেয় করে মানসিকভাবে নির্যাতন করে। আমি বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুমনয় পোদ্দার স্যারকে অবগত করি। এসময় আমার কর্মস্থল প্রান্তিক হাসপাতালের কর্মচারীরাও আমাকে তাদের সাথে মিশতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে আমি স্বাভাবিক কার্জকর্ম করতে গিয়েও মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ি।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মার্কেটিং ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, প্রান্তিক জেনারেল হাসপাতাল কয়েকজনের ব্যক্তি মালিকাধীন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি বন্ধে জেলা সিভিল সার্জনের নোটিশের কথা তিনি শুনেছেন। তিনি আরো জানান, এ প্রতিষ্ঠানে ৩৪জন ষ্টাফ রয়েছে। এমন দূর্যোগময় মুহুর্তে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হলে দুর্ভোগে পড়বে সাধারণ রোগীসহ কর্মরত স্টাফরা। এছাড়া ভাইরাস সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা না মানাসহ তাদের ইচ্ছে মতো কার্যক্রম পরিচালনা কিছুই হয়নি বলে জানান তিনি।