রায়হানুর রহমান, ৮ মে: দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে জেলার রামগঞ্জ লকডাউনে থাকা ৫শতাধিক পরিবহন শ্রমিকগণ সরকারী/বেসরকারীভাবে গত দেড়মাসেও কোন ত্রান সহায়তা পায়নি বলে জানান পরিবহন শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।
এতে করে রামগঞ্জ বাস টার্মিনালে আটকে থাকা হিমালয়, আলবারাকা, বলাকা, হিমাচল, জননী পরিবহনের ৫শতাধিক পরিবহন শ্রমিকরা কোন ত্রান সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ত্রান সহায়তা চেয়ে একটি আবেদন করলে তিনি রামগঞ্জ পৌরসভা ও স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে শ্রমিকদের ত্রান সহায়তা দেয়ার সুপারিশ করেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ ত্রান সহায়তা না দিয়ে উল্টো হেনস্থা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন।
শ্রমিক নেতারা আরো জানান, বুধবার রামগঞ্জ পৌরসভা মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর কার্যালয়ে গেলে তিনি তাদের সাথে খারাপ আচরন করে অফিস থেকে বের করে দেন। এমন সংবাদ বাসষ্টান্ড শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, ৫শত শ্রমিকের বেশী লোকজন অদ্যবধি করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনের পর কোন ত্রান সামগ্রী বা কোন ধরনের সহযোগীতা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের নিকট একটি আবেদন করি। আবেদনের ১মাস পার হলেও শ্রমিকরা কোন ত্রান সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়াও মেয়ররের কাছে গেলে তিনি লাথি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয় আমাদেরকে।
পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, আমি শ্রমিকদের সাথে কোন খারাপ আচরন করিনি। ত্রান আমি আগেই বিতরন করে ফেলেছি। আর শ্রমিকরা আমার কাছে নগদ টাকা সহায়তা চায়। নগদ টাকা আমি কোথায় থেকে দিবো। এই দুর্যোগে নগদ টাকার কোন বরাদ্ধ আমার কাছে আসেনি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে কোন জনপ্রতিনিধি যদি শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন করে তা হবে আমাদের জন্য দুঃখ ও লজ্জাজনক। আমি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব এলাকার শ্রমিকদের ত্রান সহায়তা দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।