মাহমুদ ফারুক, ১৮ জানুয়ারী: টাকার বিনিময়ে ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বিতরণ, জন্ম-মৃত্যু ও ওয়ারিশ সনদ, বসতঘরে নম্বর প্লেট বিতরণ, ট্রেড লাইসেন্সসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাত, দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৯নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এছাড়া উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ১০জন ইউপি সদস্য (মেম্বার) উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯এর ৩৯(১৩) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের পদটি একই আইনের (৩৫)১ চ ধারা অনুযায়ী শুণ্য ঘোষণা করেন।
আজ সোমবার সন্ধায় গত গত ১৪ জানুয়ারী স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৫ (২) ধারা মতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের নথি ৪৬,০০,৫১০০, ০১৭,২৭, ০০২, ১৮-৩৯ এ আদেশ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, টাকার বিনিময়ে ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বিতরণ, জন্ম-মৃত্যু ও ওয়ারিশ সনদ, বসতঘরে নম্বর প্লেট বিতরণ, ট্রেড লাইসেন্সসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাত, দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে উক্ত ইউনিয়নের ১০জন ইউপি সদস্য স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অনাস্থা প্রস্তাব দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোনাজের রশিদকে তদন্ত দেয়ার পর অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে গোপন ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হয়। গোপন ভোটে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১০ ভোট পড়ে যা দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি।
এ ব্যপারে ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা জানান, আমি অফিসিয়ালি কোন চিঠি এখনো হাতে পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।