নিজস্ব প্রতিবেদক:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রামগঞ্জ উপজেলার আইয়েনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ মিন্টু মিয়াকে দারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা চেষ্টা মামলায় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সোহাগ পাটোয়ারীসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত সোহাগ পাটোয়ারী দরবেশপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আইয়েনগর গ্রামের সদ্য নির্বাচিত সদস্য (মেম্বার)। এসময় একই অভিযোগে সোহেল, শুভ ও জহির হোসেন নামের আরো তিনজনেক আটক করা হয়।
রামগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হামলায় মারাত্মক আহত মিন্টু মিয়া আইয়েনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম দপ্তরি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যপারে মিন্টু মিয়ার স্ত্রী নারগিছ সুলতানা জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের আইয়েনগর হাজী বাড়ীর সামনে মোঃ সোহাগ হোসেনের উপস্থিতিতে তার কর্মী আইয়েনগর হাজী বাড়ির মোঃ সোহেল, মোঃ শুভ, মোঃ নাছির, মোঃ রায়হান, মোঃ আরমান হোসেন ও জহিরসহ বেশ কয়েকজন আমার স্বামী মিয়াকে ঘটনাস্থলে একা পেয়ে বেদম মারধর করে দারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আত্মরক্ষার্থে মিন্টু চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
মিন্টুর স্ত্রী নারগিস সুলতানা আরো জানান, আমার স্বামীকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় প্রথমে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তবে স্থানীয় একটি সূত্রে জানান, ভোটের দিন ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন মোঃ সোহাগ পাটোয়ারী ও আপেল প্রতীক নিয়ে সাদিয়া আক্তার রুমা। আপেল প্রতীকের প্রার্থী সাদিয়া আক্তার রুমার পক্ষে নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা রাখায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আজ দুপুরে আইয়েনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ইউপি সদস্য সোহাগ পাটোয়ারীসহ ৪জনকে স্থানীয় একটি চা-দোকান থেকে আটক করে।
ঘটনার পরদিন বুধবার দুপুরে কথা হয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সোহাগ মেম্বারের সাথে। এসময় হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে মোঃ সোহাগ জানান, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কারনে একটি মহল ইর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধায় হামলার ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় মিন্টুর মিয়ার স্ত্রী নারগিস সুলতানা বাদী হয়ে ৫জনকে একটি এজাহার দায়ের করেন।